বিড়ালের ঠান্ডা লাগলে কি কি করণীয় ?
Encrypting your link and protect the link from viruses, malware, thief, etc! Made your link safe to visit.
পোষা বিড়ালে ঠান্ডা লাগলে কি কি করনীয় ?
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই । বিলাই বাজ ওয়েব সাইটের নতুন একটি আর্টিকেল আপনাকে স্বাগতম । আজকে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে জানতে যাচ্ছি সেটি হল পোষা বিড়ালের ঠান্ডা লাগলে কি কি সমস্যা হতে পারে সেই বিষয়ে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত বর্ণনা করা হবে । আশা করি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে এই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত একটি ধারণা পেয়ে যাবেন । তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক ,
ষড়ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের দেশে বিড়ালের একটি সাধারণ রোগ দেখা যায় আর এই লোকটির নাম হল কমন কোল্ড আবার এই রোগটি অনেকের কাছে ক্যাট ফ্লো নামে পরিচিত । সাধারণত এই রোগটি পূর্ণবয়স্ক বিড়ালের থেকে বাচ্চা বিড়ালের শরীরে দেখা যায় বেশি । এই ভাইরাস টিতে যদি কোন বিড়াল কিংবা বিড়াল এর ছানা আক্রান্ত হলে তাদের মাঝে কোন অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা যায় না । বরং এই ভাইরাসটি যে বিড়ালের শরীরে প্রবেশ করে ওই বিড়ালটি যদি অন্য কোন বিড়ালের সাথে মেলামেশা করে তাহলে এই ভাইরাসটি সেই বিড়ালের শরীরে প্রবেশ করবে। এক কথায় বলা যায় এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ ।
তো বন্ধুরা চলুন জেনে নেয়া যাক কমন কোল্ড বা cat floo রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে : কমন কোল্ড ভাইরাসটিতে কোন বিড়াল আক্রান্ত হলে বিড়ালটি ঠিকভাবে নাড়াচড়া করতে পারে না সারাদিন শুয়ে বসে থাকে এছাড়া সর্দি-কাশিও দেখা যায় । তাছাড়া এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে মানুষের মত কিছু লক্ষণ দেখা যায় যেমন : নাক থেকে এক ধরনের তরল বের হওয়ার পাশাপাশি চোখ থেকে পানি ঝরতে পারে । সর্দির কারণে নাক বন্ধ থাকলে বিড়ালটিকে মুখ হা করে শ্বাস নিতে হয় । কোন কোন বিড়ালের নাকও চোখের পাশে ঘা হয় এবং খাবারে অরুচি দেখা দেয় । কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় ভাইরাস আক্রান্ত বিড়ালটির জ্বর হতে পারে এর সাথে বিড়ালটির গলার স্বর পাল্টে যেতে পারে । যদি এইরকম লক্ষণ কোন বিড়ালের মাঝে দেখা দেয় তাহলে দ্রুত অন্য বিড়ালের থেকে এটি কে আলাদা করে ফেলতে হবে এরপর পরিষ্কার স্বাস্থ্যকর এবং উষ্ণ স্থানে বিড়ালটিকে রাখতে হবে । যদি জ্বরের কারণে নাক এবং চোখ থেকে তরল কোন পদার্থ বের হয় তাহলে সেটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে । পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে এবং যদি অরুচির কারণে খাবার খেতে না চায় তাহলে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে অন্যথায় বিড়ালের শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে । যদি কোনভাবেই বিড়ালটিকে খাওয়াতে না পারলে অতি দ্রুত তাকে স্যালাইন দিতে হবে। বাড়িতে এই নিয়মগুলো মেনে চলে তাহলে সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিনের ভেতর বিড়ালটি সুস্থ হয়ে যাবে। এই সময়ের ভেতর যদি কোন উন্নতি না ঘটে তাহলে অতি দ্রুত হাসপাতালে কিংবা পশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে ।
এই রোগ থেকে বাঁচার উপায় হচ্ছে যথাসময়ে বিড়ালকে টিকে দেওয়া । বিড়ালকে তিন মাস বয়সে প্রথম টিকা দিতে হয় এরপর নিয়ম করে প্রতি এক বছর অন্তর অন্তর বিড়ালকে টিকে দিতে হয় । বেশিরভাগ সময় দেখা যায় টিকা দেওয়া হয়নি এমন বিড়াল এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে । তাই আগে থেকেই টিকা দেওয়া থাকলে এই রোগের ঝুঁকি অনেক অংশে কমে যায় ।
তো বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি এখানেই সমাপ্ত করেছি । এইরকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের বিলাই বাজ ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।
ধন্যবাদ
0 Response to "বিড়ালের ঠান্ডা লাগলে কি কি করণীয় ?"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন